Hanuman chalisa in bengali হনুমান চালিসা ইন বাংলা – পূর্ণ পাঠ, অর্থ ও গুরুত্ব
হনুমান চালিসা হল ভগবান হনুমানজির প্রতি নিবেদিত একটি অতি পবিত্র স্তোত্র। এটি ১৬শ শতকে গোস্বামী তুলসীদাস রচিত, এবং এটি ৪০টি চৌপাই (চালিসা অর্থ “চল্লিশ”) নিয়ে গঠিত। এই স্তোত্র পাঠ করলে জীবনে শক্তি, সাহস, ভক্তি এবং সাফল্য লাভ হয়।
হনুমান চালিসা: বাংলা অনুবাদ সহ পূর্ণ পাঠ
নিচে আমরা পুরো হনুমান চালিসা বাংলায় দিয়েছি, যা প্রতিদিন পাঠ করলে জীবনে অলৌকিক পরিবর্তন আসে।
দোহা
শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ, নিঝ মন মুকুরে সুধার।
বরণৌ রঘুবর বিমল যশু, জো দায়ক ফল চার।।
বুদ্ধিহীন তনু জানিকৈ, সুমিরৌ পবন কুমার।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দে হু মোরি, হরহু ক্লেশ বিকার।।

🙏 হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa in Bengali) 🙏
দোহা
শ্রী গুরু চরন সরোজ রজ, নিঝ মন মুকুরু সুধার।
বরনৌ রঘুবর বিমল যশু, যো দায়কু ফল চার॥
বুদ্ধিহীন তনু জানিকে, সুমিরৌ পবন কুমার।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি, হরহু কলেস বিকার॥
চৌপাই (৪০ স্তবক)
১।
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর,
জয় কপীশ তিহু লোক উজাগর॥
২।
রাম দূত অতুলিত বল ধামা,
অঞ্জনি পুত্র পবনসুত নামা॥
৩।
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী,
কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী॥
৪।
কঞ্চন বরণ বিরাজ সুবেসা,
কানন কুন্ডল কুঞ্চিত কেশা॥
৫।
হাথ বজ্র আও ধ্বজা বিরাজে,
কাঁধে মুঞ্জ জনেউ সাজে॥
৬।
শঙ্কর সুবন কেশরী নন্দন,
তেজ প্রতাপ মহা জগ বন্দন॥
৭।
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর,
রাম কাজ করিবে কাতুর॥
৮।
প্রভু চরিত্র শুনিবে কো রসিয়া,
রাম লখন সীতা মন বসিয়া॥
৯।
সূক্ষ্ম রূপ ধরী সিয়হি দিখাবা,
বিকট রূপ ধরী লঙ্ক জরাবা॥
১০।
ভীম রূপ ধরী অসুর সংহারে,
রামচন্দ্র কে কাজ সাওয়ারে॥
১১।
লায়ে সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে,
শ্রী রঘুবীর হরষি উর লায়ে॥
১২।
রঘুপতি কিন্হি বহুৎ বড়াই,
তুম মম প্রিয় ভরত হি সম ভাই॥
১৩।
সহস বদন তুম্রো যশ গায়ে,
আস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লাগায়ে॥
১৪।
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনি শা,
নারদ সারদ সহিত অহি শা॥
১৫।
যম কুবের দিগপাল যেখানে,
কবি কোবিদ কহি सके কাহা॥
১৬।
তুম উপকার সুগ্রীবহি কিন্হা,
রাম মিলায়ে রাজপদ দিন্হা॥
১৭।
তুম্রো মন্ত্র বিভীষণ মানা,
লঙ্কেশ্বর भए সব জগ জানা॥
১৮।
যুগ সহস্ত্র যোজন পর ভানু,
লিল্যো তাহি মধুর ফল জানু॥
১৯।
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী,
জলধি লাঙ্ঘি গয়ে অচরজ নাহী॥
২০।
দুর্গম কাজ জগৎ কে জেতে,
সুগম অনুগ্রহ তুম্রে তেতে॥
২১।
রাম দুয়ারে তুম রাখবারে,
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে॥
২২।
সব সুখ লহে তুমারী সরনা,
তুম রক্ষক কাহু কো ডর না॥
২৩।
আপন তেজ সমহারো আপৈ,
তিনো লোক হাঙ্ক তে কাঁপৈ॥
২৪।
ভূত পিশাচ নিকট নাহি আবে,
মহাবীর যব নাম শুনাবে॥
২৫।
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা,
জপত নিরন্তর হনুমত বীরা॥
২৬।
সঙ্কট তে হনুমান ছুড়াবে,
মন ক্রম বচন ধ্যান যো লাবে॥
২৭।
সব পর রাম তপস্বী রাজা,
তিনকে কাজ সখল তুম সাজা॥
২৮।
অউর মনোরথ যো কোই আওয়ি,
সোই অমিত জীবন ফল পায়ে॥
২৯।
চারো যুগ পরতাপ তুমহারা,
হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিয়ারা॥
৩০।
সাধু সন্ত কে তুম রক্ষক,
অসুর নিকন্দন নাম তোমার॥
৩১।
অষ্ট সিদ্ধি নউ নিধি কে দাতা,
অস বর দীন জানকি মাতা॥
৩২।
রাম রাসায়ন তুমরে পাসা,
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা॥
৩৩।
তুমরে ভজন রাম কো পায়ে,
জনম জনম কে দুখ বিসরায়ে॥
৩৪।
অন্ত কাল রঘুবর পুর জায়ে,
যাহাঁ জন্ম হরিভক্ত কহায়ে॥
৩৫।
অউর মনোরথ যো কোই আওয়ি,
সোই অমিত জীবন ফল পায়ে॥
৩৬।
যো শত বার পাঠ কর কোই,
ছুটহি বন্দি মহা সুখ হোই॥
৩৭।
জো এই পড়ে হনুমান চালিশা,
হোয় সিদ্ধি সাক্ষী গৌরীশা॥
৩৮।
তুলসীদাস সদা হরিচেরা,
কীজে নাথ হৃদয় মহ ডেরা॥
দোহা (শেষ অংশ)
পবন তনয় সংকট হরণ,
মঙ্গল মূর্তি রূপ।
রাম লখন সীতা সহিত,
হৃদয় বসহু সুর ভূপ॥
হনুমান চালিসার অর্থ ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য
হনুমান চালিসা কেবল একটি স্তোত্র নয়; এটি একটি শক্তিশালী ধ্যান মন্ত্র, যা মন ও আত্মাকে শক্তিশালী করে।
যিনি প্রতিদিন ভক্তিভরে হনুমান চালিসা পাঠ করেন, তিনি নেতিবাচক চিন্তা, ভয়, অলসতা, ও অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত হন।
হনুমানজির নাম স্মরণ করলে জীবনে অদম্য সাহস, আত্মবিশ্বাস, ও ভগবানের প্রতি অটল ভক্তি জন্ম নেয়। তিনি হলেন ভক্তি ও সেবার প্রতীক, যিনি রামভক্তদের সকল বিপদে রক্ষা করেন।
🌿 হনুমান চালিসা পাঠের উপকারিতা
✅ মন ও শরীরে শক্তি ও সাহস বৃদ্ধি করে।
✅ জীবনের দুঃখ, ভয়, রোগ ও বিপদ দূর করে।
✅ আত্মবিশ্বাস ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়।
✅ পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখে।
✅ নেতিবাচক শক্তি ও অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
হনুমান চালিসা পাঠের উপকারিতা
১. 🕉 মানসিক শান্তি ও স্থিরতা: প্রতিদিন পাঠ করলে মন শান্ত হয় ও চিন্তা দূর হয়।
২. 💪 শক্তি ও সাহস বৃদ্ধি: জীবনের যেকোনো চ্যালেঞ্জের মুখে সাহস যোগায়।
৩. 🧘♂️ আধ্যাত্মিক উন্নতি: ভগবান রামের প্রতি ভক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. 💰 আর্থিক সমৃদ্ধি: বিশ্বাস করা হয়, হনুমান চালিসা পাঠ করলে কর্মক্ষেত্রে বাধা দূর হয়।
৫. 🛡 নেতিবাচক শক্তি থেকে সুরক্ষা: অশুভ আত্মা বা কালো শক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
কখন ও কীভাবে হনুমান চালিসা পাঠ করবেন
- দিন: মঙ্গলবার ও শনিবার হনুমানজির পূজা ও চালিসা পাঠের জন্য সর্বোত্তম।
- সময়: ভোরবেলা বা সূর্যাস্তের সময় শান্তভাবে পাঠ করা উত্তম।
- স্থান: পরিষ্কার ও নিরিবিলি স্থানে হনুমানজির মূর্তি বা ছবির সামনে বসে পাঠ করুন।
- নিয়ম: পাঠের আগে স্নান করে, প্রদীপ জ্বালিয়ে, ভক্তিভরে “জয় হনুমান” উচ্চারণ করুন।
0
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে হনুমান চালিসা
Hanuman chalisa in bengali
বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, হনুমান চালিসার ধ্বনি ও ছন্দ মানব মস্তিষ্কের কম্পন ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণ করে, যা মানসিক ভারসাম্য ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
চৌপাইগুলির সুরেলা উচ্চারণ শরীরে ইতিবাচক কম্পন সৃষ্টি করে, যা মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা দূর করতে সাহায্য করে।
হনুমান চালিসা ও আধুনিক যুগে এর প্রভাব
আজকের ব্যস্ত জীবনে, যেখানে মানুষ চিন্তা, ভয় ও হতাশায় ভুগছে, সেখানে হনুমান চালিসা পাঠ এক আশীর্বাদ।
অনেক সফল ব্যক্তি নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠ করে মানসিক শক্তি লাভ করেছেন। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় নয়, বরং ধ্যান ও মাইন্ডফুলনেসের শক্তিশালী উপায়।
উপসংহার
হনুমান চালিসা হল এমন এক দैব রচনা যা ভক্তি, জ্ঞান ও শক্তির প্রতীক।
প্রতিদিন ভক্তিভরে এই চালিসা পাঠ করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয়, মন শান্ত হয় এবং জীবনে আসে আলোকিত শক্তি ও সাফল্য।
জয় হনুমান, জয় বাজরঙ্গবলী! 🙏
হনুমান চালিসার ইতিহাস ও উৎপত্তি
হনুমান চালিসা রচনা করেছিলেন গোস্বামী তুলসীদাসজি, যিনি রামচরিতমানস নামক অমর গ্রন্থের রচয়িতা। তিনি ভগবান হনুমানকে পরম ভক্তির প্রতীক মনে করতেন।
তুলসীদাসজি এই স্তোত্র রচনা করেন তখন, যখন ভারতের সমাজে ধর্মীয় ও নৈতিক অবক্ষয় শুরু হচ্ছিল।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে, হনুমান চালিসা পাঠ করলে মানুষের অন্তর থেকে অন্ধকার দূর হয় এবং জীবনে আলোর পথ খোলে।
তুলসীদাসজি এক রাতে স্বপ্নে ভগবান হনুমানজির দর্শন পান, এবং সেই ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণাতেই এই স্তোত্র রচিত হয়।
এর ভাষা অবধি হিন্দি, কিন্তু আজ এটি বাংলাসহ বহু ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।
হনুমান চালিসার প্রতিটি চৌপাইয়ের গূঢ় তাৎপর্য
প্রত্যেকটি চৌপাই ভক্তের জীবনে এক বিশেষ আধ্যাত্মিক শিক্ষা দেয়।
১️⃣ “জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর” — এখানে বলা হয়েছে হনুমানজির জ্ঞান ও গুণের সীমা নেই। ভক্তি ও বুদ্ধির মিলন ঘটায় এই চৌপাই।
২️⃣ “রাম দূত অতুলিত বল ধামা” — হনুমান হলেন শক্তি ও সাহসের প্রতীক; ভক্তকে নির্ভীক করে তোলেন।
৩️⃣ “কঞ্চন বরন বিরাজ সুবেসা” — এই চৌপাইটি হনুমানের রূপ, শক্তি ও মহিমা বর্ণনা করে, যা আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।
৪️⃣ “লায় সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে” — এটি আত্মত্যাগ ও সেবার নিদর্শন, যেখানে হনুমানজির নিষ্ঠা ও দ্রুততার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।
এইভাবে প্রতিটি চৌপাই মানব জীবনের এক গভীর সত্য প্রকাশ করে — বিশ্বাস, শক্তি, নম্রতা ও সেবার মন্ত্র।
কেন হনুমানজিকে “চিরঞ্জীবী” বলা হয়
হিন্দু ধর্ম মতে, ভগবান হনুমান হলেন অষ্টচিরঞ্জীবীদের একজন — অর্থাৎ তিনি অমর।
ভগবান রাম তাঁকে আশীর্বাদ দিয়েছিলেন যে, যতদিন রামের নাম থাকবে, ততদিন হনুমান পৃথিবীতে বিরাজ করবেন।
এই কারণে, প্রতিটি যুগে, প্রতিটি সময়ে ভক্তরা তাঁর উপস্থিতি অনুভব করেন।
আজও যারা হনুমান চালিসা পাঠ করেন, তাঁরা অনুভব করেন অদৃশ্য এক শক্তি, যা তাদের রক্ষা করে।
হনুমান চালিসা ও জীবনের পাঠ
এই স্তোত্র কেবল ভক্তির নয়, এটি জীবনদর্শনেরও পাঠ্যগ্রন্থ।
এখানে প্রতিটি চৌপাই আমাদের শেখায় —
- নম্রতা: নিজের অহং ত্যাগ করে ভগবানের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।
- সাহস: অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া।
- নিষ্ঠা: লক্ষ্য অর্জনে ধৈর্য ও বিশ্বাস বজায় রাখা।
- ভক্তি: আত্মার সত্যিকারের মুক্তির পথ হলো ভগবানের প্রতি নিষ্ঠা।
আধুনিক জীবনে হনুমান চালিসার প্রাসঙ্গিকতা
আজকের প্রযুক্তি নির্ভর জীবনে আমরা অনেকেই মানসিক চাপ, উদ্বেগ, একাকীত্ব ইত্যাদি সমস্যায় ভুগি।
এই সময়ে হনুমান চালিসা পাঠ আমাদের মনোযোগ, ধৈর্য ও অন্তর্দৃষ্টি বাড়ায়।
বিশেষত যারা
- পরীক্ষার আগে উদ্বিগ্ন,
- কর্মক্ষেত্রে চাপে আছেন,
- বা পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছেন —
তাঁরা নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠ করলে আশ্চর্যজনক পরিবর্তন দেখতে পান।
হনুমান চালিসা পাঠের সঠিক নিয়ম (ধর্মীয় শাস্ত্র মতে)
১️⃣ ভোরবেলা স্নান শেষে পরিচ্ছন্ন বস্ত্র পরুন।
২️⃣ হনুমানজির মূর্তি বা ছবির সামনে প্রদীপ ও ধূপ জ্বালান।
৩️⃣ হাতে ফুল ও চন্দন নিন।
৪️⃣ “ওম হনুমতে নমঃ” মন্ত্র জপ করে শুরু করুন।
৫️⃣ ধীরে ধীরে মনোযোগ সহকারে পুরো হনুমান চালিসা পাঠ করুন।
বিশ্বাস ও ভক্তিই হনুমান চালিসা পাঠের আসল শক্তি।
হনুমান চালিসা পাঠের অলৌকিক অভিজ্ঞতা
অনেক ভক্ত বলেন, নিয়মিত পাঠের ফলে তাঁদের জীবনে অপ্রত্যাশিত আশীর্বাদ ও সৌভাগ্য এসেছে।
- কেউ অসুস্থতা থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেছেন,
- কেউ জীবনের কঠিন পরীক্ষায় সফল হয়েছেন,
- আবার কেউ ভয় বা অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
ভক্তরা বিশ্বাস করেন, হনুমানজির করুণা পেলে কোনো বাধাই অতিক্রম্য থাকে না।
হনুমান চালিসা পাঠের পর করণীয়
চালিসা পাঠ শেষে “রাম-রাম” নাম স্মরণ করুন এবং হনুমানজির আশীর্বাদ প্রার্থনা করুন।
তুলসীদাসজি বলেছেন —
“যো শত বার পাঠ কর কোই, ছুটে বন্দি মহা সুখ হোই।”
অর্থাৎ, যে ভক্ত একশো বার হনুমান চালিসা পাঠ করেন, তাঁর জীবনের সমস্ত বন্ধন মুক্ত হয়।
হনুমান চালিসা ও রামের সম্পর্ক
হনুমান হলেন রামভক্তির মূর্ত প্রতীক। তিনি রামের আদেশে জীবনের প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করেছেন বিন্দুমাত্র অহংকার ছাড়া।
এই সম্পর্ক আমাদের শেখায় —
ভক্তি মানে নিঃস্বার্থ সেবা, ভালোবাসা ও ভগবানের প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ।
উপসংহার: হনুমান চালিসার চিরন্তন প্রেরণা
আজকের যুগে হনুমান চালিসা কেবল ধর্মীয় পাঠ নয়, এটি এক আধ্যাত্মিক অনুপ্রেরণা।
যেখানে মানুষ হারিয়ে ফেলে মনোবল ও বিশ্বাস, সেখানে এই স্তোত্র আমাদের পুনরায় জাগ্রত করে বিশ্বাস, শক্তি ও স্থিতিশীলতার বার্তা দেয়।
প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট সময় দিয়ে হনুমান চালিসা পাঠ করলে আপনি নিজেই অনুভব করবেন —
আপনার জীবন আরও শান্ত, সুস্থ ও সফল হয়ে উঠছে।
জয় বাজরঙ্গবলী! জয় শ্রী হনুমান! 🙏